Dhaka 10:37 am, Friday, 13 June 2025
[gtranslate]

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রবির রক্তদান কর্মসূচি

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:33:27 am, Friday, 30 May 2025
  • 52 Time View

 

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের সহায়তায় রক্তদানের বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে মোবাইল অপারেটর রবি।

গত ২৮ মে, রবির প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

কর্মসূচিতে রবি ছাড়াও ইউনিলিভার, ম্যাকডোনাল্ড, শান্তা হোল্ডিংস ও শান্তা ফোরামের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

এই উদ্যোগ রবির কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি অংশ হিসেবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে অংশগ্রহণ বাড়াতে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তারা।

অংশগ্রহণকারীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারা বলেন, “এই রকম জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণ আরও বড় পরিবর্তনের পথ দেখাতে পারে।”

রক্তদানের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিনামূল্যে ছয়টি স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়, যা কর্মসূচিকে আরও অর্থবহ করে তোলে।

থ্যালাসেমিয়া: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত বা বংশগত রক্তরোগ, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। এতে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১.৮২ কোটি মানুষ (১১.৪ শতাংশ) থ্যালাসেমিয়ার বাহক। প্রতি বছর প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।

থ্যালাসেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশনের (TIF) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৭০ হাজারেরও বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে, যাদের অনেকেরই বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত রক্তসঞ্চালন প্রয়োজন।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসূমা রহমান বলেন,
“থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য নিয়মিত রক্তদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ ধরনের কর্মসূচিতে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ২০২৪ সালে রবিকে সর্বোচ্চ কর্পোরেট রক্তদাতা হিসেবে আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন,
“রক্তদান কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমরা পেয়েছি, তা আমাদের গর্বিত করেছে।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন হিসেবেই রবি এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রবির রক্তদান কর্মসূচি

Update Time : 10:33:27 am, Friday, 30 May 2025

 

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের সহায়তায় রক্তদানের বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে মোবাইল অপারেটর রবি।

গত ২৮ মে, রবির প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

কর্মসূচিতে রবি ছাড়াও ইউনিলিভার, ম্যাকডোনাল্ড, শান্তা হোল্ডিংস ও শান্তা ফোরামের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

এই উদ্যোগ রবির কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি অংশ হিসেবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে অংশগ্রহণ বাড়াতে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তারা।

অংশগ্রহণকারীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তারা বলেন, “এই রকম জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণ আরও বড় পরিবর্তনের পথ দেখাতে পারে।”

রক্তদানের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিনামূল্যে ছয়টি স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়, যা কর্মসূচিকে আরও অর্থবহ করে তোলে।

থ্যালাসেমিয়া: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট

থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত বা বংশগত রক্তরোগ, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। এতে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া দেখা দেয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১.৮২ কোটি মানুষ (১১.৪ শতাংশ) থ্যালাসেমিয়ার বাহক। প্রতি বছর প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।

থ্যালাসেমিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশনের (TIF) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৭০ হাজারেরও বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে, যাদের অনেকেরই বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত রক্তসঞ্চালন প্রয়োজন।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসূমা রহমান বলেন,
“থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য নিয়মিত রক্তদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ ধরনের কর্মসূচিতে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ২০২৪ সালে রবিকে সর্বোচ্চ কর্পোরেট রক্তদাতা হিসেবে আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন,
“রক্তদান কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমরা পেয়েছি, তা আমাদের গর্বিত করেছে।

দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন হিসেবেই রবি এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।”