২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ১,০৮০ জন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত এসব ব্যক্তিদের ফেরত পাঠানো হয় কঠোর অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) জানিয়েছে, এসব ভারতীয়দের মধ্যে প্রায় ৬২% ব্যক্তিকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে একটি মার্কিন সামরিক বিমানে একযোগে ১০৪ জন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়, যাদের অনেককে হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে আনা হয়। এই ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
ভারতের প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ:
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানান, “ফেরত পাঠানো ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করেছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছি যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি না ঘটে।”
বিরোধী দলগুলো একে “অমানবিক” ও “জাতীয় লজ্জা” বলে আখ্যা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান:
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তথ্যমতে, এখনো প্রায় ১৮,০০০ ভারতীয় অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করছে। ট্রাম্প প্রশাসন এসব অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাতে সক্রিয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে ভবিষ্যতে তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সতর্কতা ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ:
ভারত সরকার নাগরিকদের সতর্ক করছে যাতে তারা অবৈধ উপায়ে বিদেশে প্রবেশের চেষ্টা না করেন। একইসঙ্গে, বৈধ পথে বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসন নীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।