
খেলাধুলা ডেস্ক | ৩১ মে ২০২৫: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসছে নতুন যুগের সূচনা। ক্রিকেটের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। টেস্ট ও ওয়ানডে—দুই সংস্করণেই এই পরিবর্তন কার্যকর হবে। বিশেষ দিক হলো, এই নতুন নিয়ম প্রথমবারের মতো কার্যকর হবে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে।
🏏 টেস্টে ‘কনকাসন সাব’ নিয়মে নতুন ধারা
আগামী ১৭ জুন গলে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্ট ম্যাচ। সেই ম্যাচ থেকেই টেস্টে চালু হচ্ছে কনকাসন সাবস্টিটিউট নিয়ে নতুন নিয়ম।
নিয়ম অনুযায়ী—
- খেলা শুরুর আগে দুই দলকে পাঁচ জন কনকাসন বিকল্প খেলোয়াড়ের তালিকা জমা দিতে হবে ম্যাচ রেফারির কাছে।
- তালিকায় থাকতে হবে: একজন ব্যাটার, একজন উইকেটরক্ষক, একজন পেসার, একজন স্পিনার ও একজন অলরাউন্ডার।
- যদি কোনো খেলোয়াড় কনকাসনে আক্রান্ত হন, তবে একই ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত খেলোয়াড়কেই বিকল্প হিসেবে নামানো যাবে।
এই নিয়মের মাধ্যমে ইনজুরির পর হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিত বা সুবিধাজনক পরিবর্তন আনা যাবে না, যা প্রতিযোগিতার ভারসাম্য রক্ষা করবে।
⚪ ওয়ানডে ক্রিকেটে বল ব্যবহারে নতুন পদ্ধতি
ওয়ানডে ক্রিকেটেও বড় পরিবর্তন আসছে। ২ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচ থেকেই চালু হবে নতুন নিয়ম।
- প্রথম ৩৪ ওভার পর্যন্ত দুটি নতুন বল দিয়ে খেলা চলবে, যেমনটি আগেও ছিল।
- ৩৫তম ওভার থেকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত (১৬ ওভার) খেলা হবে একটি বল দিয়ে। দুটি বলের মধ্যে যেটি তুলনামূলক ভালো অবস্থায় থাকবে, সেটি দিয়ে খেলা চলবে।
- যদি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ২৫ ওভারে বা তার কমে নেমে আসে, তাহলে পুরো ইনিংসেই ব্যবহার করা হবে একটি বল।
এই পরিবর্তনের ফলে ইনিংসের শেষভাগে বল পুরনো হয়ে বেশি সুইং বা রিভার্স সুইং হওয়ার সুযোগ থাকবে, যা বোলারদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।
📌 আসছে আরও নিয়ম পরিবর্তন
আইসিসির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে,
- বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরা
- ডিআরএস ব্যবহারের নিয়ম
এই দুই ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। তবে এর বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
🇧🇩 বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়েই শুরু
নতুন নিয়মের যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দিয়ে:
- ১৭ জুন: বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, প্রথম টেস্ট – নতুন কনকাসন সাব নিয়ম
- ২ জুলাই: বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা, প্রথম ওয়ানডে – নতুন বল ব্যবহারের নিয়ম
🔍 এই পরিবর্তনগুলো ক্রিকেটকে আরও আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে খেলোয়াড়দের সুরক্ষা ও খেলাধুলার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে আইসিসি।