الطهور شطر الإيمان — পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।
পবিত্র ঈদ-উল-আয্হা এক মহান ত্যাগের উৎসব। এ সময় মহান আল্লাহর নামে পশু কোরবানির পাশাপাশি পরিবেশ ও সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্বও গুরুত্বপূর্ণ। কোরবানির আগে ও পরে নিচের ৬টি বিষয় মেনে চললে আমরা রাখতে পারি পরিবেশ পরিচ্ছন্ন, সুস্থ ও নিরাপদ:
১. নির্দিষ্ট স্থানে পশু রাখা ও পরিচ্ছন্নতা:
কোরবানির পশু যেখানে-সেখানে না বেঁধে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। সেই স্থানটি স্যাভলন ও পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে রাখুন।
২. পশুকে গোসল করানো:
কোরবানির আগেই পরিষ্কার পানি দিয়ে পশুটিকে ভালোভাবে গোসল করিয়ে দিন যাতে পশু পরিচ্ছন্ন থাকে।
৩. মাংস কাটার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা:
মাংস কাটার জন্য ব্যবহার করুন পরিষ্কার স্থান, পরিষ্কার ও ধারালো সরঞ্জাম। ধারালো সরঞ্জাম ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
৪. চামড়া ছাড়ানোর পর সঠিক স্থানে মাংস কাটা:
জবেহ করার পর পশুর চামড়া ছাড়িয়ে নিন এবং মাংস কাটার জন্য ব্যবহার করুন প্লাস্টিকের শীট বা পরিষ্কার স্থান।
৫. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা:
কোরবানির পর বর্জ্যগুলো যথাযথভাবে সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার ডাস্টবিনে ফেলুন। না হলে মাটিতে গভীর গর্ত করে সেগুলো পুঁতে ফেলুন।
৬. শেষ ধাপে পরিচ্ছন্নতা অভিযান:
সবশেষে পশু রাখার স্থান, জবেহের স্থান, মাংস কাটার জায়গা ও ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো স্যাভলন, ব্লিচিং পাউডার ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
✅ এতে করে স্থানটি জীবাণুমুক্ত থাকবে, দুর্গন্ধ ছড়াবে না এবং পরিবেশ থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত।
🌿 আসুন, কোরবানির এই মহান উৎসবে ত্যাগের সাথে সাথে পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে পরিবেশবান্ধব মুসলমান হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করি।