অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট | তারিখ: ৫ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বৃহস্পতিবার এক দীর্ঘ ফোনালাপে অংশ নিয়েছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থায়ী এই আলোচনায় দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল বাণিজ্য, পারস্পরিক সফর এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা।
নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ ট্রাম্প লেখেন,
প্রায় দেড় ঘণ্টা আলাপ হয়েছে। এতে উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল শিগগিরই নতুন করে বৈঠকে বসবে।
সফরের আমন্ত্রণ
ট্রাম্প আরও জানান, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাকে ও ফার্স্ট লেডিকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ট্রাম্পও পাল্টা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্টকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য।
ট্রাম্প লেখেন,এটি এমন একটি বিষয়, দুটি মহান জাতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে যার জন্য আমরা উভয়েই অপেক্ষা করছি।”
চীনের সতর্ক বার্তা
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানায়, এই ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ট্রাম্পকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘গতিপথ সংশোধন’ করার কথা বলেন। তিনি বলেন,“চীন-মার্কিন সম্পর্কের বিশাল জাহাজের গতিপথ ঠিক রাখতে হলে আমাদের এটি ভালোভাবে পরিচালনা করতে হবে এবং সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে। সব ধরনের হস্তক্ষেপ ও ধ্বংসাত্মক প্রভাব দূর করাও অত্যন্ত জরুরি।”
তাইওয়ান প্রসঙ্গে সতর্কতা
আলোচনায় তাইওয়ান ইস্যুও গুরুত্বপূর্ণভাবে উঠে আসে। প্রেসিডেন্ট সি বলেন,“ওয়াশিংটনের উচিত হবে তাইওয়ান প্রশ্ন সতর্কতার সঙ্গে সামলানো, যাতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে সংঘাত ও মুখোমুখি অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায়।”
প্রেক্ষাপট
উল্লেখ্য, গত মাসে জেনেভায় বাণিজ্যযুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে সম্প্রতি তা কিছুটা ঝুঁকিতে পড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে ফের আলোচনার তাগিদ দেখা দেয়। এই প্রেক্ষাপটে দুই নেতার ফোনালাপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের এই আলাপ বিশ্ব অর্থনীতির দুই শীর্ষ শক্তির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত দিচ্ছে।