আজ শনিবার (৭ জুন) সারা দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব—পবিত্র ঈদুল আজহা। এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই দিনটি হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মত্যাগের স্মরণে উদযাপিত হয়, যা আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। খুতবায় কোরবানির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে অংশ নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তিনি দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় সবার কাছে দোয়া চান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানে নিজ বাসভবনে ঈদ উদযাপন করেন এবং দেশবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
ঈদ উপলক্ষে সরকারিভাবে বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে পরিবেশিত হচ্ছে উন্নতমানের খাবার। টেলিভিশন ও বেতারে প্রচারিত হচ্ছে ঈদ স্পেশাল অনুষ্ঠান।
নামাজ শেষে সামর্থ্যবান মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করছেন। ইসলামে কোরবানিকে এক মহান ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। কোরবানির মাংস তিন ভাগ করে দরিদ্র, আত্মীয় ও নিজের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে শুক্রবার ঈদ উদযাপন হয়েছে। আরাফাতের ময়দানে হাজিরা হজ পালন করেন, যা ঈদুল আজহার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
ত্যাগ, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার এই উৎসব আমাদের শেখায়—আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়।