যশোর যে কারনে বিভাগ হওয়ার অন্যতম দাবিদার তার ব্যাখ্যা দেওয়া হলো-
১ খুলনা বিভাগ
√ খুলনা জেলা ৪৩৯৪. ৪৫ বর্গ কিলোমিটার
√ বাগেরহাট জেলা ৩৯৫৯. ১১ বর্গ কিলোমিটার
√ সাতক্ষীরা জেলা ৩৮১৭. ২৯ বর্গ কিলোমিটার
৩ টি জেলা নিয়ে গঠিত সর্বমোট খুলনা বিভাগের আয়তন ১২১৭০.৮৫ বর্গ কিলোমিটার
২ যশোর বিভাগ
√ যশোর জেলা ২৬০৬.৯৮ বর্গ কিলোমিটার
√ নড়াইল জেলা ৯৬৭.৯৯ বর্গ কিলোমিটার
√ মাগুরা জেলা ১০৩৯.১০ বর্গ কিলোমিটার
√ ঝিনাইদহ জেলা ১৯৬৪.৭৭ বর্গ কিলোমিটার
√ কুষ্টিয়া জেলা ১৬০৮.৮০ বর্গ কিলোমিটার
√ মেহেরপুর জেলা ৭৫১.৬২ বর্গ কিলোমিটার
√ চুয়াডাঙ্গা জেলা ১১৭৪.১০ বর্গ কিলোমিটার
৭ টি জেলা নিয়ে গঠিত যশোর বিভাগের সর্বমোট আয়তন ১০১১৩.৩৬ বর্গ কিলোমিটার
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যশোর জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল
তাই বিভাগের দাবিতে প্রথম সারিতে রয়েছে যশোর
যশোরের ইতিহাস প্রাচীন বাংলার অংশ হিসেবে চান্দেকান নামে পরিচিত এবং এটি ১৭৮১ সালে একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই জেলার উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে রয়েছে ১৮৬৪ সালে যশোর পৌরসভা ঘোষণা, যশোর জিলা স্কুল (১৮৩৮) ও যশোর পাবলিক লাইব্রেরী (১৮৫১) প্রতিষ্ঠা এবং কলকাতা ও খুলনার সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন। ১৮শ শতকের শেষভাগে, প্রতাপাদিত্যের শাসনামলে যশোর রাজ্য একটি শক্তিশালী রাজ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
প্রাচীন ও মধ্যযুগ:
যশোর ঐতিহ্যগতভাবে চান্দেকান নামে পরিচিত এবং এটি বাংলার একটি প্রাচীন অঞ্চল।
প্রতাপাদিত্য ১৫৮০-এর দশকে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর যশোরের প্রশাসনে যোগদান করেন এবং নিজেকে একজন যোগ্য শাসক হিসেবে প্রমাণ করেন।
ব্রিটিশ আমল ও জেলা প্রতিষ্ঠা:
১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে যশোর একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, যা ছিল এর আধুনিক ইতিহাসের সূচনা।
১৮৬৪ সালে যশোর একটি পৌরসভা হিসেবে ঘোষিত হয়।
শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও এই জেলার গুরুত্ব ছিল; ১৮৩৮ সালে যশোর জিলা স্কুল এবং ১৮৫১ সালে যশোর পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়।
যশোরের সাথে কলকাতা ও খুলনার রেল যোগাযোগ ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে স্থাপিত হয়েছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যশোর:
বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন জেলা যশোর।
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে যশোর জেলা স্বাধীন হয়।
“ইতিহাস ঐতিহ্যে যশোর কালেক্টরেট ভবন”
যশোর- ব্রিটিশ ভারতের প্রথম জেলা। ১৭৮১ সালে জেলার ঘোষণা দেয়া হয়। তখন এর অধীনে ছিল খুলনা, ফরিদপুর, পাবনা, নদীয়া ও চব্বিশ পরগনা জেলার বেশিরভাগ এলাকা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজস্ব সংগ্রহ ও ঔপনিবেশিক শাসন বজায় রাখতে প্রশাসনিক সংস্কার করেন। ১৭৮৬ সালের ৪ এপ্রিল যশোর কালেক্টরেট প্রতিষ্ঠা প্রস্তাব দেন মি. টিলম্যান হেঙ্কেল। সে বছরই যশোর কালেক্টরেট এর যাত্রা শুরু মি. টিলম্যান যশোর জেলার প্রথম কালেক্টর নিযুক্ত হন। মুড়লিতে অবস্থিত একটি কুঠিবাড়িতে কালেক্টরেট এর যাত্রা শুরু হয়। ১৭৯৩ সালে মুড়লি থেকে কসবায় ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয় সরিয়ে আনা হয়। ১৮০১ সালে বর্তমান স্থানে কালেক্টরেট ভবন গড়ে তোলা হয়। ১৮৮৫ সালে বর্তমান ভবনের ১ তলা নির্মাণ করা হয়। ৩৬০ দরজার এই ভবন তৎকালীন বাংলার দীর্ঘতম ভবন।
ইতিহাস বলে, ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দের দিকে যশোর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। যশোর-খুলনা-বনগাঁ এবং কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরের অংশ বিশেষ যশোর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দের দিকে যশোর নাটোরের রানী ভবানীর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে যশোর একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
যশোরের কালেক্টরেট এ জেলার একটি প্রতীক। এবং বাংলাদেশ প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোর।
ছবি : লেখা : সংগ্রহ
ড. আল জাবীর 









